• ঢাকা, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

দুই হকি খেলোয়াড়ের যুগলবন্দী

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) ক্রীড়াবিদদের আতুড়ঘর। সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে প্রায় সবাই বিকেএসপিতে আসেন। অন্য সবার চেয়ে হকি খেলোয়াড় সোহানুর রহমান সবুজের বিষয়টি ভিন্ন। তার বাবা আবুল খায়ের বিকেএসপিতে চাকরি করায় তার বেড়ে ওঠা এখানেই। সেই বিকেএসপিতেই আজ (শুক্রবার) জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসের অনুষ্ঠান করেছেন। জীবনের গাঁটছড়া বেঁধেছেন আরেক হকি খেলোয়াড় তাসনিম আক্তার মিমের সঙ্গে। সূত্র: ঢাকাপোস্ট২৪.কম

বর-কনে দুই জনই হকি খেলোয়াড়, আবার অনুষ্ঠান বিকেএসপিতে হওয়ায় হকি অঙ্গনের ছোটখাটো মিলনমেলাই হয়েছে। শীতের মধ্যে ঢাকা থেকে অনেকেই ছুটে গেছেন বিকেএসপির এই অনুষ্ঠানে। আজকের বৌ-ভাতের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেও হকি টার্ফে ছিলেন বর-কনে। দুজনই বল-স্টিক নিয়ে পোজ দিয়েছেন। যা যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা।

বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় সোহানুর রহমান সবুজ। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার বিভাগ হকি লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। শুধু গত লিগই নয়, সবুজ হকি লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলসংখ্যা ৪০ প্রায় ধরেই ফেলেছিলেন।

সবুজের স্ত্রী তাসনিম মিম ২০১৯ সালে সিঙ্গাপুরে অনূর্ধ্ব-২১ নারী দলে খেলেছেন। গত বছর জুনে অবশ্য ছিলেন না এএইচএফ অ-২১ দলে। এদিকে, বিয়ের পর খেলার বিষয়টি স্ত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়েছেন সবুজ, ‘হকির মাধ্যমেই আমাদের পরিচয়। ফলে হকি খেলায় আমার কোনো বাধা নেই। সে যদি খেলতে চায় খেলবে।’

সত্তর দশকের শেষদিকে নারী হকির যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল। ২০১৮ সাল থেকে নারী হকি নিয়ে বিশেষভাবে কাজ শুরু করেন সাবেক হকি খেলোয়াড় তারিকউজ্জামান নান্নু। পরবর্তীতে ফেডারেশনও নারী হকি নিয়ে কাজ শুরু করে। হকি খেলতে এসে কয়েকজন মন দেওয়া-নেওয়া করে জীবনসঙ্গীও হয়েছেন।

সবুজ ও মিমের সম্পর্ক তিন বছরেরও বেশি সময়। তাদের দুই পরিবারই বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিল। একটু অপেক্ষা করতে হয়েছে সবুজের সংস্থার অনুমতির জন্য, ‘আমাদের সংস্থায় (বিমানবাহিনী) ২৪ বছর বয়স এবং চাকরির বয়স চার হওয়ার আগে বিয়ে করা যায় না। আমার দুটিই পূর্ণ এবং অনুমতি পাওয়ায় গতকাল বিয়ে হয়েছে, আর আজ বিকেএসপিতে বৌ-ভাত হলো।’

Rent for add