• ঢাকা, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

বিশ্বকাপে চোখ রেখে স্মার্ট খেলোয়াড় তৈরির পরিকল্পনা সাঈদের

দেশের হকি উন্নয়নে আস্থার প্রতীক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এর আগে ২০১৮ সালে ‘বাঁচাও হকি’ শ্লোগানের মধ্য দিয়ে সরাসরি ভোটাভুটির মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। গেল চার বছর মেয়াদী কমিটিতে তার গতিশীল কার্যক্রমে এবার ভরসাস্থল হিসেবে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ ও ঢাকাই লিগের শীর্ষ ক্লাবগুলো ঐক্যমতের প্যানেল তাকেই বেছে নিয়েছেন। আজ (১১ জুন) রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনে ২৮ পদের জন্য ২৮টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ায় ভোটাভুটির সুযোগ থাকছে না। ফলে এ কে এম মমিনুল হক সাঈদসহ ঐক্যমতের প্যানেলের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব নিতে যাওয়া এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ হকিবাংলাদেশ.কম-কে আজ রাতে একান্ত একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যেখানে উঠে এসেছে হকি উন্ননের নানা পরিকল্পনার কথা। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশগুলো পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন : ২০১৮ সালে ‘বাঁচাও হকি’ শ্লোগানের মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত হকি নির্বাচনে আপনি জয়ী হয়েছিলেন। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। এ নির্বাচনে আপনার কি কোনো প্রতিবাদ্য শ্লোগান ছিল?
এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ : মহান সৃষ্টিকর্তা রাব্বুল আলামিন আমাকে পুনরায় কাজ করার সুযোগ প্রদান করেছেন। হাজার হাজার শুকরিয়া। সেই সঙ্গে আমার উপর যারা আস্থা রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। একটি মহাপরিকল্পনা সামনে রেখে বাংলাদেশে স্মার্ট খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে স্লোগান রয়েছে সেটিকে আমরা ভিশন হিসেবে নিয়ে মেধাসম্পন্ন খেলোয়াড়দের দিয়ে সেই লক্ষে পৌঁছুতে চাই। সেই সঙ্গে আমার আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে ভবিষৎতে বিশ্বকাপ হকিতে খেলার মতো একটি জাতীয় দল তৈরি করা।

প্রশ্ন : আপনি মহাপরিকল্পনার কথা বলছিলেন। কিন্তু সেই মহাপরিকল্পনা সর্ম্পকে কি আমাদের কিছু জানাবেন?
এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ : ঢাকায় আমরা একটি ইনডোর হকি স্টেডিয়াম করতে চাই। বর্তমানে মাওলানা ভাসানী জাতীয় স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে যে জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে সেখানে ইনডোর স্টেডিয়াম গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। সবার সহযোগিতা নিয়ে এটি করতে চাই। জাতীয় ও যুব এবং নারী হকি দলকে একটি শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানোর চেষ্টা করব। বিভাগীয় পর্যায় অ্যাস্ট্রোটার্ফ বৃদ্ধি, নিয়মিত লিগ ও বিভিন্ন টুর্নামেন্ট এবং ফ্রাঞ্চাইজি লিগকে আরো আকর্ষণীয় করার পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রশ্ন : কোন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আপনি আপনার দ্বিতীয় মেয়াদের কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করছেন?
এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ : নারী হকির সম্ভাবনাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে আমার ইচ্ছে- নারী লিগ প্রচলনের মধ্য দিয়ে আমার দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব শুরু করা। এরপর ঘরোয়া হকির দলগত সর্বোচ্চ আসর প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ মাঠে গড়ানো। এ দুটো আয়োজন সম্পান্ন করার পর ফ্রাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে কাজ শুরু করা।

প্রশ্ন : একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে ফিরতে চাচ্ছিলাম। আজ যে প্যানেলটা জমা দিলেন সেটি কি আপনার মনোপুত ছিল?
এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ : আমার দৃঢ় বিশ্বাস ঐক্যমতের এই কমিটি হকি ফেডারেশনের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কমিটি হয়েছে। এই কমিটি নিয়ে কারোর কোনো মতভেদ নেই। বাংলাদেশের হকিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষেই আমরা সবাই মিলে কাজ করব।

প্রশ্ন : এ মুহূর্তে কিন্তু দেশের হকিকে বাঁচিয়ে রেখেছে বিকেএসপি। জাতীয় দল বলুন আর যুব দল বলুন- এই প্রতিষ্ঠানের একটা বিশাল ভূমিকা রয়েছে। অথচ ২৮ জনের কমিটিতে বিকেএসপিই নেই ?
এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ : বিকেএসপি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের সমস্ত কার্যক্রমকে পরিচালনা করা। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা হকির জন্য কাজ করবে। তাদেরকে এককভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বিকেএসপির কেউ নমিনেশন পেপার নেননি। বিকেএসপির ডিজির সঙ্গে কথা বলেছি। কথা বলেই এ কাজ করেছি। ডিজি মহোদয় সব কিছু নির্ধারণ করে থাকেন। সেখানে সাধারণ স্টাফ যারা আছেন তাদের ভাব প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। আমরা আলোচনা করেই কমিটি করেছি। আমাদের যে কমিটি হয়েছে সেখানে জেলা, বিভাগ, ক্লাব, ফোরাম সবাই রয়েছে।

 

Rent for add