নিজস্ব প্রতিবেদক : ৪ আগস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৬:২৩:৩৮
প্রতিপক্ষের নামগুলোই বলে দিচ্ছে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে কতটা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশ যুব হকি দলকে। আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য যুব বিশ্বকাপ হকিতে বাংলাদেশের গ্রুপ সঙ্গী অস্ট্রলিয়া, ফ্রান্স ও দক্ষিণ কোরিয়া।
বিশ্ব হকির প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর সাথে বাংলাদেশ কতটা লড়াই করতে পারবে সেটাই দেখার বিষয়। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণই বিশাল ব্যাপার বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের লক্ষ্য যুব হকির সবচেয়ে বড় ও মর্যাদার আসরে প্রথম অংশ নিয়ে যাতে দল লড়াকু খেলাটা খেলতে পারে।
লড়াকু খেলা খেলতে হলে প্রস্তুতিও নিতে হবে সেভাবে। তাই তো বিশ্বকাপ হকি সামনে রেখে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন নিয়োগ দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের কোচ এসজি আইকম্যানকে। বৃহস্পতিবার এই ডাচ কোচ ঢাকায় এসেছেন।
পরের দিন ফেডারেশনের সাথে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেছেন এবং রোববার বিকেলে তাকে গণমাধ্যমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে তিনি দেশে ফিরে যাবেন। আবার এসে ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলের দায়িত্ব নেবেন।
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাকক্ষে দুই সহকারী কোচ আশিকুজ্জামান ও মশিউর রহমান বিপ্লবকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসেন আইকম্যান। কোচকে পরিচয় করিয়ে দেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্ণেল রিয়াজুল হাসান (অব.)।
কয়েকদিন হলো প্রস্তুতি শুরু করেছেন খেলোয়াড়রা। হাতে বেশি সময়ও নেই। এই অল্প সময়ে বিশ্বকাপের মতো আসরে গিয়ে বাংলাদেশ কেমন করতে পারে? নতুন এই কোচ বাস্তবতা মেনেই বললেন, ‘এসব দলের সাথে লড়াই করা কঠিন।’
তাই বলে তিনি ভয়ও পাচ্ছেন না। ভালো রেজাল্ট করার প্রত্যাশার কথা বললেন। এই ভালো রেজাল্ট যে, নিজেদের সাধ্যমত সেরাটা খেলে প্রতিপক্ষের কিছুটা হলেও সমীহ আদায় করা। বাংলাদেশকে কোনো দল যেন উপেক্ষা করতে না পারে। বাংলাদেশ হকিটা খেলতে পারে এই আত্মবিশ্বাস ছেলেদের মধ্যে জাগানোও হবে আমার কাজ’- বলেছেন এই ডাচ কোচ।
বাংলাদেশের হকি নিয়ে আইকম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশ হকির দিকে তাকালে দেখা যায়, তারা আক্রমণ করতে ভালোবাসে। কারণ তারা ভাবে, আমি যদি অনেক গোল করি, তাহলে জিতে যাব; কিন্তু তারা ভুলে যায়, যে রক্ষণও করতে হবে। ফলে তারা বল হারায়, প্রতিপক্ষ গোল করে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, চতুর্থ কোয়ার্টারে বাংলাদেশ অনেক গোল খেয়ে বসে। তখন তারা ভেঙে পড়ে, হতাশ হয় এবং প্রচুর কার্ড পায়। আমাদের কাজ করতে হবে শৃঙ্খলার ওপরও। প্রথমদিন থেকেই আমরা তাদের শেখাতে চেষ্টা করি, যে কার্ড পাওয়া দলের জন্য খারাপ। এটা তোমার খেলাকে ব্যাহত করে। আমি এমন একটা দল দেখতে চাই যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শৃঙ্খলার সাথে লড়াই করবে।’
Rent for add