মোরসালিন আহমেদ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৮:৫৪:৪৪

[সৌজন্যে: পাক্ষিক ক্রীড়াজগত, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫]
আমিরুল ইসলাম দ্য নেক্সট সুপার স্টার অব বাংলাদেশ হকি বললে এখন হয়ত কেউ আর দ্বিমত পোষণ করবেন না। জুনিয়র বিশ্বকাপে যেভাবে চমৎকার নৈপুণ্যে দেখিয়ে হ্যাটট্রিকের পর হ্যাটট্রিক করেছেন, বিপক্ষের জালে গোলের বন্যা বইয়েছেন, একটার পর একটা ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন- নীল অ্যাস্টোটার্ফে এমন একচ্ছত্র আধিপত্যে তাঁকে হকির জগতে অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। ভাবা যায় ৬ ম্যাচে ৫ হ্যাটট্রিকসহ ১৮ গোল! চার ম্যাচে ম্যাচসেরা! এমন কি সর্বাধিক গোলদাতাও! রীতিমতো অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স। ছোট্ট দলের বড় তারকা হয়ে যেভাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিক স্পেশালিস্ট হয়ে নিজেকে মেলে ধরেছেন, সবার প্রশংসায় ভেসেছেন, বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে তুলে এনেছেন- হকির সেই তরুণ তুর্কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আমিরুল তাঁর একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ার, অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতের কথা বলেছেন জাতীয় ক্রীড়া পাক্ষিক ক্রীড়াজগতকে। তাঁর আলাপচারিতার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন: কখনো কি ভেবেছিলেন জুনিয়র বিশ্বকাপে এতো গোল পাবেন?
আমিরুল ইসলাম: গোল করার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এতোগুলো হবে ভাবিনি। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস ছিল ভালো খেলব। ম্যাচ বাই ম্যাচ সেটা চেষ্টা করেছি। পরিশ্রমের ফল পেয়েছি। সর্তীথরা যথেষ্ট ভালো খেলেছেন। দলগত পারস্পরিক বোঝাপড়া গোল করতে সহায়তা করেছে। নি:সন্দেহে এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। তবে এখানেই থেমে যেতে চাই না। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের হয়েও বিশ^কাপ খেলতে চাই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের হয়ে আপনি প্রথম হ্যাটট্রিকম্যান। ভাবতে কেমন লাগছে?
আমিরুল ইসলাম: আলহামদুলিল্লাহ। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হ্যাটট্রিক করতে পেরেছি। হ্যাটট্রিকটা আমার কাছে মুখ্য নয়। অ্যাজ এ প্লেয়ার হিসেবে আমি দলের জন্য খেলি। আমাদের প্ল্যানিংয়ের ফাস্ট অপশন ছিল ওপেন শুট করার। যদি ওপেন শুটের অপশন না পাওয়া যায় তাহলে পেনাল্টি কর্নার। কোচিং ইন্সট্রাকশন ছিল পেনাল্টি কর্নার হলে হানড্রেড পারসেন্ট অ্যাফোর্ড দিয়ে স্কোর বের করতে হবে। সেটি ফুলফিল করার জন্য চেষ্টা করেছি। সেই থেকে হ্যাটট্রিক পেয়েছি। একপর্যায় আমরা ৪-১ গোলে পিছিয়ে থেকে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫-৩ গোলের ক্লোজ হার পরবর্তী ম্যাচ খেলতে আরো আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে। তাদের সঙ্গে ৩-০ গোলে পিছিয়ে আমার হ্যাটট্রিকের সুবাদে ড্র করা এটিও ছিল আমাদের জন্য বড় পাওনা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে গতবারের রানার্সআপ ফ্রান্সের কাছে হেরেছি মাত্র ৩-২ গোলে। এদিন একটি গোল পেয়েছিলাম। এরপর ১৭ থেকে ২৪ অর্থাৎ শেষ ৮ দলের মধ্যে সেরা হওয়ার লড়াইয়ে হ্যাটট্রিকসহ পাঁচ গোল করে ১৩-০ গোলে ওমানকে হারালাম। হকির যেকোনো পর্যায়েই ওমানের সঙ্গে এটি ছিল সবচেয়ে বড় জয়। পরের ম্যাচে পেলাম আবার দক্ষিণ কোরিয়াকে। তাদের ৩-৫ গোলে হারিয়ে পেলাম এক ঐতিহাসিক জয়। এ ম্যাচেও হ্যাটট্রিক পেলাম। সবশেষ ১৭ স্থান নির্ধারণী ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে ‘চ্যালেঞ্জার ট্রফি’ জয় করলাম। এখানেও করলাম হ্যাটট্রিক। আমার বিশ্বাস এমন ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে ভবিষ্যতে আরো বড় কিছু অর্জন করা সম্ভব।

প্রশ্ন: ছয় ম্যাচে আপনার পাঁচ হ্যাটট্রিকের মধ্যে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল?
আমিরুল ইসলাম: প্রতিটি গোলই আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। একটির সঙ্গে আরেকটি তুলনা করতে চাই না। যদি একটি বেছে নিতে বলেন, সেক্ষেত্রে আমি চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে হ্যাটট্রিককেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি।
প্রশ্ন: দুর্দান্ত লড়েও অস্ট্রেলিয়া-ফ্রান্সের কাছে হারে কি আফসোস হয় না- আর একটু অ্যাফোর্ড দিলেই ম্যাচটা জিততে পারতেন?
আমিরুল ইসলাম: আমার জায়গা থেকে আর একটু অ্যাফোর্ড দিলে হয়ত অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে উইন করতে পারতাম। হ্যাটট্রিকের বাইরেরও এ ম্যাচে আমার আরো গোল করা উচিত ছিল। ব্যাক টু ব্যাক বেশ কিছু পেনাল্টি পেয়েছিলাম। সাবেক চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে (৫-৩) হেরে গেলেও আমরা বেস্ট পারফরম্যান্স করার চেষ্টা করেছি। গত আসরের ফাইনালিস্ট ফ্রান্সের সঙ্গে ম্যাচটাও আমার মনে হয় আমাদের হাতের লাগালেই ছিল। অল্পের জন্য (৩-২) জিততে পারিনি। তবে আমি মনে করি, উইনিং অর লস এটি খেলারই একটি পার্ট। কোচের ইন্সট্রাকশন যতক্ষণ মেইনটেইন করতে পেরেছি ততক্ষণ আমরা একটা ভালো রিদম নিয়ে খেলেছি। এর মধ্যে কিছু মিসটেক হওয়ায় ভুলগুলো কনসেপ্ট করে নিয়েছি। যা তাদের সঙ্গে ম্যাচ জেতা বা ড্র করা অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
প্রশ্ন: যেসব মিসটেক করেছেন সেটি কি পর্যাপ্ত ম্যাচ না খেলা বা ট্রেনিং কম হওয়ার কারণেই হয়েছে?
আমিরুল ইসলাম: ঠিক সেরকম কিছু নয়। দেশে লম্বা সময় ট্রেনিং পেয়েছি। মালয়েশিয়ায় কন্ডিশনিং ক্যাম্প ও প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছি। এমন কি, ভারতে খেলতে এসে সুইজারল্যান্ড ও চিলির সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেছি। আমরা ভালো হ্যান্ডেলিংয়ে আছি। আমাদের ডাচ কোচ সেগগ্রেড আইকম্যান। তাঁর পরিকল্পনা ও পরামর্শে ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলেছি। উনি চেষ্টা করছেন ওয়ার্ল্ড হকি, মর্ডাণ হকি যেভাবে চলছে আমরা যেনো ওইভাবে কন্টিনিউ করি। আমরাও তাঁর কাছ থেকে যতটা নেওয়ার ও শেখার চেষ্টা করছি। আমি মনে করি, আইকম্যান স্যার যদি আমাদের সঙ্গে আরো কিছু দিন কিংবা লং টাইম থাকেন তাহলে অস্ট্রেলিয়া-ফ্রান্সের মতো টিমগুলোর সঙ্গে ভবিষ্যতে জয়ের আশা করতে পারব।
প্রশ্ন: আপনাকে ‘ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিক স্পেশালিস্ট’ বলা হচ্ছে। কিভাবে এমন স্পেশালিস্ট হয়ে উঠলেন?
আমিরুল ইসলাম: ২০১৬ সালের কথা। সবেমাত্র বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছি। শুরুতে ফরোয়ার্ডে খেলতাম। হঠাৎ কি মনে করে জানি নান্নু (শেখ নান্নু) স্যার আমাকে ডিফেন্সে খেলানো শুরু করলেন। তখন সিনিয়র ভাইদের ‘ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিক’ করতে দেখতাম। আমার কাছেও এটি ভালো লাগত। তখন একা একা করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু নান্নু স্যার হয়ত মনে করতেন এটার যোগ্য নই আমি। তারপরও আমার চেষ্টা থেমে থাকেনি। পরবর্তীতে আমার আগ্রহ দেখে উনি ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিক করার চান্স দেওয়া শুরু করেন। বিশেষ করে এটি শেখতে ও রপ্ত করতে যে ধরনের টেকনিক, টেকটিস ও ফ্যাসিলিটিজ দরকার ছিল মেন্টালিভাবে নান্নু স্যার ও রাজু (জাহিদ হোসেন) স্যার আমাকে সাপোর্ট করেছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই আজ ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিক স্পেশালিস্ট হয়ে উঠেছি।

প্রশ্ন: আরো একটু পেছনে ফিরতে চাচ্ছিলাম। হকি প্লেয়ার হয়ে উঠার গল্পটা কি বলবেন?
আমিরুল ইসলাম: ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আমি তখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। এটি ২০১৫ সালের কথা। সেসময় প্রতিদিন সকাল সাতটার দিকে স্যারের কাছে কোচিংয়ে পড়তে যেতাম। কোচিং আর বাসা এই যাওয়া-আসার মাঝে নুরুল ইসলাম চাচাকে স্কুল মাঠে বাঁকানো লাঠি আর সাদা বল দিয়ে নাড়াচাড়া করে কিসের জানি কোচিং করাতে দেখতাম। কৌতুহলবশত একদিন সেখানে দেখতে গেলাম। যেয়ে শুনি এ নাম ‘হকি’ খেলা। কিছুই বুঝতাম না। তবে খেলাটি মনে ধরে গেল। মাঝে মাঝে টুকটাক খেলার চেষ্টা করতাম। কিন্তু নুরু চাচা প্রথম প্রথম চলে যেতে বলতেন। আমার আগ্রহ দেখে একসময় উনি কাছে টেনে নিলেন। সেই থেকে শুরু। তাঁর অনুপ্রেরণায় ২০১৫ সালে বিকেএসপিতে ট্রায়াল দিতে এলাম। ২০১৬ সালে ভর্তি হলাম। ২০২২ সাল পর্যন্ত সেখানেই থিতু হয়ে রইলাম। কিভাবে যে এতোগুলো দিন-মাস-বছর গড়িয়ে হকি প্লেয়ার উঠলাম বুঝতেই পারলাম না। পড়াশোনার পাশাপাশি হকিই আমার ধ্যানজ্ঞান স্বপ্ন। পাড়ি দিতে চাই আরো বহুদূর।
প্রশ্ন: ফিল্ড গোল কম হয়েছে- এ নিয়ে আক্ষেপ হয় না?
আমিরুল ইসলাম: আক্ষেপ বলব না। ফিল্ড গোল পেলে হয়ত আরো ভালো হত। হেরে যাওয়া ক্লোজ ম্যাচগুলোয় হয়তবা ভিন্ন ফল হতে পারত! কোচ যে প্ল্যানিং দিয়েছেন সে অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। আমাদের প্ল্যানিংয়ে ফাস্ট অপশন ছিল ওপেন শুট করার। ফরোয়ার্ডরা চেষ্টা করেছেন। হয়ত ক্লিক কম হয়েছে। ওপেন শুটের অপশন না পেলে সেকেন্ড অপশন ছিল পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল বের করা। আমার মনে হয় এখানে আমরা ইমপ্রæভ করেছি, অনেক ভালো করেছি।
প্রশ্ন: অনেকে ভেবেছিলেন হালি হালি গোল খেয়ে ফিরবেন। এমন নেতিবাচক কথাবার্তাগুলো কিভাবে ওভারকাম করেছিলেন?
আমিরুল ইসলাম: বাস্তবতার নিরিখে বিশ্বকাপে এটি ছিল আমাদের প্রথম অভিজ্ঞতা। কঠিন গ্রুপে খেলতে হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া ছিল সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ফ্রান্স সবশেষ আসরের ফাইনালিস্ট। দক্ষিণ কোরিয়া ছিল এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ দেখে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। বলেছেন ওরা মডার্ণ হকি খেলে। ওদের হাইট ভালো। তাদের কাছে গোল খাব। বড় ব্যবধানে হারব। সেগুলো আমরা কানে নেইনি। আমরা কনফিডেন্স নিয়ে খেলছি। আমাদের ডেডিকেশন ছিল। ভালো পারফর্ম করেছি। সবার প্রশংসা কুড়িয়েছি। আমাদের আত্মবিশ্বাস জন্মেছে ভবিষ্যতে আরো ভালো করতে পারব।

প্রশ্ন: আপনাকে অনেকে হামজার সঙ্গে তুলনা করছেন বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?
আমিরুল ইসলাম: বিষয়টি আমি গর্বের সঙ্গে দেখি। উনি এখন বাংলাদেশের বড় তারকা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্যাপ্টেন। তাঁর বাংলাদেশে আসা এবং জাতীয় দলের হয়ে খেলা এবং নতুন করে ফুটবলে ক্রেজ তৈরি করা, মাঠে দর্শক টেনে আনা এবং ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঝে আশার সঞ্চয় করা হামজা ভাই বিশ^মঞ্চে বাংলাদেশকে নতুনভাবে পরিচিত এনে দিয়েছে। তাঁর সঙ্গে তুলনা করাটাকে আমি পজিটিভভাবেই নিচ্ছি।
প্রশ্ন: একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে ফিরছি। তারকা ফুটবলার হামজা চৌধুরীর মতোই আপনার হেয়ার স্টাইল? তাঁকে দেখেই কি এরকম করেছেন?
আমিরুল ইসলাম: না, না, এমন কেনো করব। ব্যাপারটি ঠিক তেমন নয়। বাই ন্যাচারিলি আমি চুল বড় রাখতাম। বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার পর নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হত। ২০২২ সালে যখন পড়াশোনা শেষ করে বিকেএসপি থেকে বের হই তখন আবার চুল বড় রাখার সুযোগ হয়। হামজা ভাই আসার পর তাঁর চুলের ধরণ দেখে জিনিসটা সবার চোখে পড়েছে।
প্রশ্ন: আপনাকে সবাই হকির হামজা বলে ডাকেন, বিষয়টি কেমন লাগে?
আমিরুল ইসলাম: উনি অনেক বড়মাপের তারকা। উনাকে ঘিরে ফুটবলে আবার ক্রেজ তৈরি হয়েছে। অনেকেই আমাকে এখন হামজা ভাইয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। এমনটা ভাবতে বেশ ভালো লাগে। গর্বিত মনে হয়। এখনো উনার সঙ্গে সামনা-সামনি দেখা হয়নি। আশা করছি হয়ত শিগগিরই আমাদের দেখা হবে। হামজা ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলে বলব, বাংলাদেশের ফুটবল কিভাবে আরো এগিয়ে নেওয়া যায় এ নিয়ে সর্তীথদের সঙ্গে কাজ করার।

প্রশ্ন: সবশেষ প্রশ্ন করতে চাচ্ছি ভবিষ্যতে এ দল নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
আমিরুল ইসলাম: বিশ্বাস করুন আর নাইবা করুন যুব বিশ্বকাপে খেলে আসা এ দলটি কিন্তু জাতীয় দলের ভবিষ্যত পাইপলাইন হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। আগামীদিনে এ দল থেকেই বেশিরভাগ খেলোয়াড় জাতীয় দলে উঠে আসবেন এটাই স্বাভাবিক। এখন থেকেই যদি এ দলটিকে নানারকম সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে রাখা যায় তাহলে তারাই ভবিষ্যতে জাতীয় দলকে মূল বিশ্বকাপের দোরগোড়ায় নিয়ে যাবার সামর্থ রাখেন।
Rent for add